গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায়
দৈনন্দিন জীবন যাপন এ আমরা বিভিন্ন রকম গর্ভবতী হওয়ার লক্ষন দেখতে পায়।কিন্তু আমাদের বুজতে ভুল হতে পারে এই লক্ষন গুলি কি কি।তো প্রিয় দর্শক,আজকে আমরা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষন ও গর্ভবতী হওয়ার লক্ষন কত দিন পর বোঝা যায় সে সম্পর্কে জানবো। আসলে এই সম্পর্কে জানাটা খুবই জরুরি। কেননা একজন গর্ভবতী মহিলার পরিবারের সকল মানুষ তার শরির এর সকল বিষয় এর প্রতি যত্ন নেওয়ার কথা চিন্তা করে থাকে তাই আমাদের গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায় বা যাবে তা নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষন সমুহ
একজন গর্ভবতী নারীর বিভিন্ন ধরনের লক্ষন দেখা দিতে পারে।গর্ভে সন্তার আসার বা সন্তান গর্বে থাকা কালিন তাদের বিভিন্ন প্রকার লক্ষন দেখা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে কয়েকটি লক্ষন নিচে ব্যাখ্যা সহ দেওয়া হলো -
- বমি করা বা বমি বমি ভাব
- প্রস্রাব গন হওয়া
- মাথা গুরানো ও মাথা ব্যথা
- স্তনে ব্যথা শুরু হওয়া
- পেট ফাপা থাকা
- পিরিয়ড মিস করে ফেলা
১.বমি করা
বমি করা এটি প্রায় সব গর্বভতী মহিলার গর্ভবতী কালে বা সময়ে দেখা দিয়ে থাকে।এটি সাধারণ ভাবে বলতে গেলে সকল গর্ভবতী মহিলার এই বমি বমি ভাব প্রকাশ হয়ে থাকে।এই বমি বমি ভাব কোন খারাপ লক্ষন নয় এটা একটি ভালো লক্ষন।
২/মাথা গুরানো ও মাথা ব্যথা
গর্ভবতী হওয়ার পরে,মাথা গুরানো টা স্বাভাবিক।এই মাথা গুরানো কোনো সমস্যা না। এতে ক্ষতিকর এর কিছুই নেই।
৩/প্রস্রাব গন হওয়া
গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মহিলার পস্রাব ঘন হয়।এটা স্বাভাবিক ধরে নেওয়া যায়।কেননা একটি শিশুকে জন্ম দিতে হলে অনেক যন্ত্রনা সহ্য করে সেই শিশুটি জন্ম নেয় ও গর্ভবতী মহিলারা জন্ম দেয়।
৪/স্তনে ব্যথা শুরু হওয়া
আমরা জানি যে একটি শিশুর জন্মের পর মাতৃদুদ্গ কতটা প্রয়োজনীয়। আর একটি গর্ভবতী মহিলা যখন তার বাচ্চা বা শিশুটিকে জন্ম দেয় তখন সেই শিশুটি কে তার মাতৃদুদ্ধ প্রয়োজনীয় খাদ্য হিসেবে দেওয়া হয়। আর এই প্রয়োজনীয় দুদ্গ একটি গর্ভবতী বা সন্তান জন্মদাত্রি মায়ের স্তন থেকেই পাওয়া যায়।
৫/পেট ফাপা থাকা
গর্ভবতী মহিলার সন্তান জন্ম দেওয়ার আগেই ও প্রথম তিন মাসের মধ্যে আমরা লক্ষ করি গর্ভবতী মহিলার কিছুটা পেট ফাপা।একটি শিশু যখন তার মায়ের গর্ভে একটু একটু করে বেড়ে উঠে তখর তার মায়ের ও শারীরিক ভাবে ওজন ও শরীর এর আকৃতি বৃদ্ধি পায়।আর মায়ের গর্ভকালে এই পেট ফাপার লক্ষন দেখা দেয়।
৬/পিরিয়ড মিস করে ফেলা
পিরিইয়ড মিস করা একটি গর্ভবতী হওয়ার লক্ষন।আমরা জানি একজন নারীর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখ এ পিরিয়ড বা মাসিক হয়ে থাকে।আর একজন নারীর যদি প্রতি মাসে পিরিয়ড মিস হয় তাহলে সেটাও গর্ভবতী হওয়ার লক্ষন বলা যায়।
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায়
একজন গর্ভবতী মহিলার কত দিনের মধ্যে তার লক্ষন বুজা যাবে তা সঠিক ভাবে বলা খুবই মুশকিল বিষয়।তবুও সমাজিক বিষয় লক্ষ্য করে দেখা যায় একজন গর্ভবতী মহিলার ২থেকে ৩ সপ্তাহের মধেই তার গর্ভবতী কি না তা বুজা যায়। কোনো সময় একজন গর্ভবতী মহিলার ৬থেক ৪১দিনের মধ্যে ও এই লক্ষন গুলি বুযা যায়।তাছাড়া উপরের লক্ষন গুলো যদি দেখা দেয় তাহলেই বুজে নিবো যে তিনি মা হতে চলেছে বা তিনি গর্ভবতী।এছাড়া ও একজন গর্ভবতী মহিলার গর্ভধারন এর আগে অবশ্যই ডাক্তার এর পরামর্শ নেওয়া উচিত।কারন- গর্ভকালীন সময়ে কিভাবে যত্ন নেওয়া দরকার তা সম্পর্কে জানা অজানা সকল বিষয় বস্তু ইত্যাদি সম্পর্কে জানা একজন গর্ভবতি মহিলার দরকার।
সর্বশেষ মন্তব্য
উদ্দিপকে আমরা যা কিছু জানলা তা সম্পর্কে আমরা কত টুকু জানি তা আমরা বুজতে পারবো। আর উদ্দিপকের লক্ষন গুলো যদি দেখা দিয়ে থাকে তাহলে বুজা যাবে যে তিনি গর্ভবতী।তাহলে আমরা সবাই জানলাম গর্ভবতি মহিলার লক্ষন সমুহ।এই রকম লক্ষন হলো গর্ভবতী হওয়ার লক্ষন।
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি কিছুটা হলেও বুজতে পারছেন কিভাবে লক্ষন গুলো দেখা দিতে পারে।এর এই লক্ষন গুলো দেখে হতাশা হলে চলবে না। নিজেকে শক্ত করে রাখতে হবে।যাতে একজন গর্ভবতী মহিলার যত্ন নিতে পারেন।