পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়

 

পিরিয়ড কি?


পিরিয়ড হলো গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজনীয় জরায়ুর প্রস্তুতির চক্রের একটি অংশ। প্রতি মাসে, জরায়ুর অভ্যন্তরীণ আস্তরণ ঘন হয়ে ওঠে এবং রক্তনালী দিয়ে সমৃদ্ধ হয়। যদি গর্ভধারণ না হয়, তবে এই আস্তরণ ভেঙ্গে যায় এবং রক্তপাতের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে আসে। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত 2 থেকে 7 দিন স্থায়ী হয়।


পিরিয়ডের লক্ষণ:


১/রক্তপাত হওয়া। এটি পিরিয়ডের সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ। রক্তপাতের পরিমাণ এবং রঙ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে।

২/পেটে ব্যথা। পেটের পেশী সংকুচিত হওয়ার কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে।

৩/পিঠে ব্যথা।পেটের ব্যথার সাথে পিঠে ব্যথাও হতে পারে।

৪/মাথাব্যথা করা। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে।

৫/মেজাজের পরিবর্তন হওয়া। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মেজাজের পরিবর্তন হতে পারে।

৬/বমি বমি ভাব।কিছু ব্যক্তির পিরিয়ডের সময় বমি বমি ভাব হতে পারে।

৭/ক্ষুধা পরিবর্তন। পিরিয়ডের সময় ক্ষুধা বৃদ্ধি বা হ্রাস পেতে পারে।

পিরিয়ড সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য


সাধারণত 12 থেকে 15 বছর বয়সে মেয়েদের প্রথম পিরিয়ড হয়।

গড়ে, 21 থেকে 35 দিন পর পর পিরিয়ড হয়।

পিরিয়ড 2 থেকে 7 দিন স্থায়ী হয়।

রজঃস্রাবকালীন স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

যদি পিরিয়ড অনিয়মিত হয়, অতিরিক্ত রক্তপাত হয়, বা তীব্র ব্যথা হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।



 পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়

 

পিরিয়ডের ব্যথা অনেক মেয়ে মহিলার জন্যই একটি বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা। তবে কিছু উপায় অবলম্বন করে এই ব্যথা কমানো সম্ভব।

 

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

 

  1. গরম পানির সেঁক দেয়া। পেটে বা পিঠে গরম পানির সেঁক দিলে ব্যথা কমতে সাহায্য করে।
  2. ব্যায়াম করা। হালকা ব্যায়াম, যেমন হাঁটা বা যোগব্যায়াম, ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  3. ম্যাসাজ করা। পেটে বা পিঠে ম্যাসাজ করলে ব্যথা কমতে সাহায্য করে।
  4. আদা চা বা আদার রস পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  5. পেঁপে, পেঁপেতে থাকা এনজাইম প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে, যা পিরিয়ডের ব্যথার জন্য দায়ী।
  6. ল্যাভেন্ডার অয়েল ব্যবহার। ল্যাভেন্ডার অয়েলের ম্যাসাজ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  7. অ্যালোভেরা রস পান। অ্যালোভেরা রস পান করলে ব্যথা কমতে সাহায্য করে।

 

ওষুধ

 

  • {প্যারাসিটামল}প্যারাসিটামল পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ।
  • {আইবুপ্রোফেন} আইবুপ্রোফেন পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • {নাপ্রোক্সেন} নাপ্রোক্সেন পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

 

আরও কিছু টিপস

  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
  • ক্যাফেইন অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুমান।
  • স্ট্রেস কমাতে চেষ্টা করুন।

 

যদি ব্যথা তীব্র হয় তাহলে করণীয়

 

  • ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান।

 

মনে রাখবেন যে,

প্রত্যেকের শরীর ভিন্ন।যা একজনের জন্য কাজ করে, তা অন্যজনের জন্য কাজ নাও করতে পারে।আপনার জন্য কোন উপায়টি সবচেয়ে ভালো কাজ করে, তা খুঁজে বের করুন।


Next Post Previous Post