জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম

 প্রিয় দর্শক আজকের দিনে জ্বর এর প্রকোপ অনেক বেশি।তাই আমরা জ্বর সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।জ্বর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো -

জ্বরের জন্য কোন নির্দিষ্ট এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট নেই। জ্বর হল একটি সাধারণ উপসর্গ যা বিভিন্ন ধরণের অসুস্থতার কারণে হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, ভাইরাল সংক্রমণ এবং পরজীবী সংক্রমণ। অ্যান্টিবায়োটিকগুলি কেবল ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাই জ্বরের কারণ নির্ণয় না করা পর্যন্ত সেগুলি নেওয়া উচিত নয়।


এই কন্টেন পড়া শেষে আমরা জানতে পারবো -

  • অতিরিক্ত জ্বর হওয়ার লক্ষন
  • জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
  • জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম


যদি আপনার জ্বর থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে তারা আপনার জ্বরের কারণ সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারে। একবার কারণ নির্ণয় হয়ে গেলে, আপনার ডাক্তার আপনাকে উপযুক্ত চিকিত্সা নির্ধারণ করতে পারবেন। যদি আপনার জ্বর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হয়, তাহলে আপনার ডাক্তার একটি অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করতে পারেন।


এখানে কিছু সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বরের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে:

  • অ্যামোক্সিসিলিন
  • সেফালেক্সিন
  • লেভোফ্লক্সাসিন
  • ক্লেথ্রোমাইসিন

এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার ডাক্তারের নির্দেশাবলী অনুসারে অ্যান্টিবায়োটিকগুলি সম্পূর্ণ কোর্স গ্রহণ করুন, এমনকি যদি আপনি ভাল বোধ করতে শুরু করেন তবেও। অ্যান্টিবায়োটিকগুলি সম্পূর্ণ কোর্স না নেওয়া ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধের বিকাশের দিকে নিয়ে যেতে পারে।


অ্যান্টিবায়োটিকগুলির কিছু সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:


১)ডায়রিয়া

২)বমি বমি ভাব

৩)পেট খারাপ

৪)ফুসকুড়ি

৫)খাম


আপনার যদি অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করার সময় কোনও গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তবে তাড়াতাড়ি আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

অতিরিক্ত জ্বর এর লক্ষন

অতিরিক্ত জ্বর হল ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি তাপমাত্রা। এটি একটি চিকিৎসা জরুরী অবস্থা যা মস্তিষ্কের ক্ষতি এবং অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে।


অতিরিক্ত জ্বরের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:


অত্যধিক উচ্চ তাপমাত্রা।১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি।


  • ঠান্ডা লাগা। কাঁপুনি এবং কাঁপুনি।
  • ঘাম। অতিরিক্ত ভারী ঘাম হয়।
  • দ্রুত শ্বাস। প্রতি মিনিটে 20 বারের বেশি শ্বাস।
  • দ্রুত হৃৎস্পন্দন। প্রতি মিনিটে 100 বারের বেশি হৃৎস্পন্দন।
  • মাথাব্যথা। তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে।
  • ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া। ঘাড় সামনের দিকে বাঁকাতে অসুবিধা।
  • বিভ্রান্তি।বিভ্রান্ত বা দিক হারানো।
  • আচরণগত পরিবর্তন। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বিরক্ত বা উত্তেজিত।
  • জব্দ। নিয়ন্ত্রণ হারানো এবং কাঁপুনি


আপনার যদি অতিরিক্ত জ্বর থাকে, তাহলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যা করতে পারেন:


১/911 এ কল করুন বা নিকটতম জরুরী বিভাগে যান।


২/ঠান্ডা পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন।


৩/পাতলা পোশাক পরুন।


৪/প্রচুর তরল পান করুন।


অতিরিক্ত জ্বরের চিকিৎসার জন্য ওষুধও ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলির মধ্যে রয়েছে:


অ্যান্টিপাইরেটিকস। জ্বর কমাতে সাহায্য করে এমন ওষুধ, যেমন অ্যাসিটামিনোফেন (টাইলেনল) বা আইবুপ্রোফেন (মোট্রিন)


অ্যান্টিবায়োটিক।ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ওষুধ।


অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ। ভাইরাল সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ওষুধ


অতিরিক্ত জ্বর গুরুতর হতে পারে, তবে দ্রুত চিকিৎসা নিলে বেশিরভাগ লোকই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে।


জ্বর কমানোর উপায়


 পর্যাপ্ত বিশ্রাম


[১] জ্বর হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। 

[২]পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার মাধ্যমে শরীর রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সংগ্রহ করতে পারে।


[৩]প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা এবং শিশুদের জন্য ১০-১২ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।


পানিশূন্যতা রোধ


১/জ্বর হলে শরীর থেকে ঘাম, বমি, ডায়রিয়ার মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়।


২/পানিশূন্যতা রোধ করতে প্রচুর পরিমাণে পানি, তরল খাবার, স্যুপ, ORS ইত্যাদি পান করা উচিত।


৩/প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন 2.5-3 লিটার এবং শিশুদের জন্য 1-1.5 লিটার তরল পান করা উচিত।


পানিপট্টি দেওয়া


১/জ্বরের তীব্রতা বেশি হলে মাথায় পানিপট্টি দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা কমানো যেতে পারে।


২/পানিপট্টির জন্য ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ এতে ত্বকের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে জ্বর আরও বেড়ে যেতে পারে।


৩/হালকা গরম পানিতে ভেজা তোয়ালে ব্যবহার করা উচিত।


৪/পানিপট্টি 10-15 মিনিটের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।


আদা ও মধুর মিশ্রণ


১.আদা আর মধুর মিশ্রণ এ বিভিন্ন জ্বর কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। 


২.এক কাপ পানিতে এক চামচ আদা কুচি ও এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার পান করলে জ্বরের তীব্রতা কমে যাবে।


 তুলসী পাতার পানি


১/তুলসী পাতার পানি জ্বর কমানোর জন্য বেশ কার্যকর। তুলসীতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল গুণাবলী রয়েছে।

২/এক কাপ পানিতে সাত থেকে আটটি তুলসী পাতা ফুটিয়ে নিন। ছেঁকে ঠান্ডা করে দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন।


 মধু ও লেবুর মিশ্রণ


১/মধু ও লেবুর মিশ্রণ জ্বর কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করে।


২/এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন।


 রসুন পানি খাওয়া


(১) রসুন জ্বর কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।


(২)দুই কোয়া রসুন পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করে দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন।



Next Post Previous Post